“সোশ্যাল মিডিয়ার স্বপ্নকন্যা”
“সোশ্যাল মিডিয়া আজ শুধু বিনোদনের জায়গা নয়, হাজারো মানুষের স্বপ্ন পূরণেরও হাতিয়ার।”
ছোট্ট এক শহর। মফস্বলের গলি, ধুলোমাখা পথ, আর সাধারণ মধ্যবিত্তের সীমিত স্বপ্নের জীবন। সেখানেই বাস করে অর্পিতা। বয়স তখন আটাশ, বিয়ের সাত বছর হলো। সংসারে স্বামী রাজীব আর দুই ছোট্ট সন্তান—পাঁচ বছরের আরিয়া আর দুই বছরের অয়ন।
রাজীব একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে। বেতনের অঙ্ক মন্দ নয়, তবে খরচের সঙ্গে তাল মেলায় না। বাজারের দাম বাড়ছে, বাচ্চাদের স্কুলের ফি বাড়ছে, সংসারের নিত্য প্রয়োজনের হিসেব কষতে কষতেই রাজীবের কপালে ভাঁজ গভীর হচ্ছে।
অর্পিতা প্রতিদিনই এসব দেখে ভাবে—
“আমি কি শুধু ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে যাব? স্বামী তো সারাদিন খেটে চলেছে, আমি কি কিছু করতে পারি না?”
কথাটা কাউকে বলে না। কেবল নিজের মনে মনে লড়াই করে যায়।
অর্পিতার শখ ও প্রতিভা
অর্পিতা ছোট থেকেই সৃজনশীল। রান্না করতে ভালোবাসে, গল্প লিখতে ভালোবাসে, আর বন্ধুদের সামনে দাঁড়িয়ে হাসতে-খেলতে কিছু বলতে পারলেই প্রাণ জেগে ওঠে।
কিন্তু বিয়ের পর সেই প্রতিভা কোথায় যেন চাপা পড়ে গিয়েছিল। সংসারের ব্যস্ততা, সন্তান জন্মের পর ঘরকন্নার দায়ভার, আর আত্মীয়-স্বজনের দৃষ্টিভঙ্গি—সব মিলিয়ে নিজের জন্য আলাদা সময় বা জায়গা খুঁজে পাওয়া হয়ে ওঠেনি।
একদিন বিকেলে সন্তানদের পড়াতে পড়াতে হঠাৎ ইউটিউবে একটা ভিডিও দেখতে পেলো। এক গৃহিণী রান্নার ভিডিও করে আপলোড করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় । সাধারণ রান্না, কিন্তু কত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। লাখ লাখ মানুষ সেই ভিডিও দেখছে, কমেন্ট করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অর্পিতা অবাক হয়ে গেল।
“আমিও তো এমন রান্না করি। আমি পারবো না কেন?”
স্বামীর সমর্থন
সেই রাতে সাহস করে রাজীবকে বললো,
—“শোনো, আমি একটা কথা ভেবেছি। আমি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউটিউব বা ফেসবুকে কিছু ভিডিও দিই, যেমন রান্না বা ঘর সাজানোর টিপস, কেমন হয়?”
রাজীব একটু অবাক হলো। তারপর হেসে বললো,
—“চেষ্টা করো না কেন? আমি তো তোমার কাজকর্ম সবসময়ই সুন্দর বলে মনে করি। ফোন তো আছেই, দিয়ে শুরু করো।”
অর্পিতা রাজীবের এই উত্তর শুনে অবাক হলো। ভেবেছিল হয়তো বলবে—“এসব দিয়ে কী হবে?” কিন্তু রাজীব বরং সাহস দিলো।
সেই রাতেই দু’জনে মিলে ফোনটা ঠিকঠাক করে, ক্যামেরা পরিষ্কার করে একটা ছোট্ট রান্নার ভিডিও বানালো। তেমন কিছু নয়—“আলুর চপ বানানোর সহজ রেসিপি।”
অর্পিতা ভিডিওটা আপলোড করে দিলো ইউটিউবে।
সমাজের প্রথম আঘাত
ভিডিওটা প্রথমে খুব কম মানুষই দেখলো। কয়েকদিনে মোটে ৫০–৬০ ভিউ। কিন্তু আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়লো।
খুব শিগগিরই ফোন আসা শুরু হলো।
—“এইসব সোশ্যাল মিডিয়া করে কি সংসার চলে?”
—“বাড়ির বউ হয়ে প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও দেওয়া মানায়?”
—“এসব করে কি সম্মান থাকে?”
প্রতিবেশীরাও নানা কানাঘুষা শুরু করলো। কেউ খোঁচা দিয়ে বললো—“বউকে এখন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নায়িকা বানাচ্ছো নাকি?”
কেউ আবার মুখে না বললেও কটাক্ষের হাসি ছুঁড়ে দিলো।
অর্পিতা মন খারাপ করলো। রাতের বেলা রাজীবকে বললো—
—“হয়তো আমি ভুল করছি। সবাই এত খারাপ বলছে।”
রাজীব তাকে শান্ত করে বললো—
—“শোনো, যারা হাসছে তারা তোমার জায়গায় নেই। তারা জানে না, তুমি কী করতে পারো। তুমি চালিয়ে যাও।”
এই কথাগুলোই তাকে ভরসা দিলো।
সংগ্রামের দিনগুলো
প্রথম কয়েক মাস ছিল দারুণ কষ্টকর। ভিডিও বানানোই কঠিন কাজ হয়ে উঠেছিল। ফোনটা মাঝেমাঝে হ্যাং হয়ে যেত, আলো ঠিক মতো থাকতো না।
ভিডিও এডিট করাও ছিল ঝক্কির। কখনো শব্দ মেলেনি, কখনো ছবির মান খারাপ হয়েছে। অনেকবারই ভিডিও ঠিকভাবে বানাতে না পেরে মুছে ফেলতে হয়েছে।

কিন্তু প্রতিদিন রাত জেগে চেষ্টা করে গেছে অর্পিতা। দিনে সংসার আর সন্তান সামলাতো, রাতে ফোনে ভিডিও কাটাছেঁড়া শিখতো। ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখে শিখে নিয়েছিল কিভাবে ভিডিও ঠিক করা যায়।
ছয় মাস কেটে গেল। ভিডিও সংখ্যা হলো প্রায় পঞ্চাশ। কিন্তু ভিউ খুব একটা বাড়লো না। মাসে গড়ে ২০০–৩০০ ভিউ হয়, অনেক ভিডিও তো ৫০–৬০ ভিউতে আটকে থাকে।
তবুও অর্পিতা থামেনি।
ব্যর্থতার আঘাত
একদিন আত্মীয়রা একত্র হয়েছিল এক অনুষ্ঠানে। সেখানেও শুরু হলো ফিসফিসানি।
একজন বললো—“আজকালকার মেয়েরা সংসার করতে জানে না, শুধু ফেসবুক-ইউটিউব সোশ্যাল মিডিয়া নিয়েই পড়ে থাকে।”
অন্যজন যোগ করলো—“এসব করে কি পেট চলে?”
কথাগুলো অর্পিতার কানে আসছিল। বুকের ভেতর কেমন একটা চাপা কষ্ট জমছিল।
অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরে চোখে জল এসে গেল। রাজীব তাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
—“আজ যারা হাসছে, কাল তারা তোমার কাছেই শিখতে আসবে।”
এই একটা বাক্য যেন নতুন আগুন জ্বালালো ভেতরে।
আলোর দেখা
দিন যায়, মাস যায়। একদিন হঠাৎ একটি ভিডিও আপলোড করলো—
“১০ মিনিটে অফিসে লাঞ্চ বানানোর রেসিপি।”
এই ভিডিওটাই বদলে দিলো সবকিছু।
প্রথম কয়েক ঘণ্টায় ভিউ হলো ১০০০, তারপর একদিনে ২০ হাজার। সপ্তাহ শেষে ১ লাখের ওপর মানুষ ভিডিওটা দেখলো। কমেন্ট সেকশনে ভেসে আসতে লাগলো—
 “এটা সত্যিই দারুণ টিপস।”
 “দিদি, আপনাকে দেখে অনুপ্রাণিত হলাম।”
 “আমি কাল থেকে আপনার রেসিপি ট্রাই করবো।”
অর্পিতা চোখে বিশ্বাস করতে পারছিল না। ফোনের নোটিফিকেশন থামছেই না।
সেই মুহূর্তে মনে হলো—“হ্যাঁ, আমি পেরেছি। আমি সত্যিই কিছু করতে পারি।”
পরিবারের প্রথম আনন্দ
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অল্পদিনেই সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে গেল। ইউটিউব থেকে প্রথমবারের মতো ছোট্ট একটা ইনকাম এলো—মাত্র কয়েকশো টাকা।
কিন্তু সেই টাকার আনন্দ ছিল অমূল্য। রাজীব হাতে টাকা তুলে দিয়ে বললো—
—“এটাই তোমার প্রথম উপার্জন। মনে রেখো, এটা অনেক বড় প্রমাণ।”

অর্পিতা চোখের জল লুকিয়ে রাখলো। মনে মনে ভাবলো—
“আজ শুরু হলো আমার নতুন পথচলা।”
আয় বৃদ্ধির সূচনা
ইউটিউব থেকে প্রথম ছোট্ট আয়ের স্বাদ পাওয়ার পর অর্পিতার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেল। সে বুঝলো, এ পথে এগোনো সম্ভব। এবার সে আরও মনোযোগী হয়ে কনটেন্ট তৈরি করতে লাগলো।
প্রতিদিন নতুন আইডিয়া খুঁজতো।
 কখনো রান্না
 কখনো ঘর সাজানোর টিপস
 আবার কখনো বাচ্চাদের পড়াশোনার কৌশল
রাজীব এখন অনেক বেশি আগ্রহ নিয়ে সাহায্য করতে শুরু করলো। ভিডিও শুট করার সময় ট্রাইপড ধরে রাখতো, আলো ঠিক করতো, বা কখনো ক্যামেরার পেছনে থেকে উৎসাহ দিতো।
কয়েক মাসের মধ্যে ইউটিউবের পাশাপাশি ফেসবুক পেজেও হাজার হাজার ফলোয়ার হয়ে গেল। প্রথম যে মানুষগুলো কটাক্ষ করেছিল, তারাই আস্তে আস্তে বললো—
—“তুমি তো সত্যিই ভালো কাজ করছো।”
নতুন দিগন্তে পদক্ষেপ
অর্পিতা এবার শুধু ভিডিওতেই থেমে থাকলো না। সে ইনস্টাগ্রামে ছোট ছোট রিল বানাতে শুরু করলো। তার সহজ-সরল উপস্থাপনা, আন্তরিক কথা আর গৃহস্থ জীবনের টিপস দ্রুত মানুষের মনে জায়গা করে নিলো।
একদিন হঠাৎ এক বড় অনলাইন ফুড ব্র্যান্ড তার সঙ্গে যোগাযোগ করলো। তারা চাইল, অর্পিতা তাদের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে একটা রেসিপি ভিডিও বানাবে। এর বিনিময়ে পারিশ্রমিকও দেবে।
এটা ছিল নতুন অভিজ্ঞতা। অর্পিতা বিশ্বাসই করতে পারছিল না যে, একসময় যার ভিডিও মানুষ দেখতো না, এখন সেই মানুষকে ব্র্যান্ড খুঁজে নিচ্ছে।
প্রথম বিজ্ঞাপন ভিডিও করার পর আরও অনেক ব্র্যান্ড আসতে লাগলো। ফলে তার আয় কয়েকগুণ বেড়ে গেল।
সংসারের পরিবর্তন
সংসারের অবস্থা বদলাতে শুরু করলো। আগে যেখানে মাসের শেষের দিকে রাজীবকে হিসেব কষতে হতো, এখন সেই চাপ অনেকটা কমে গেছে।
অর্পিতা তার প্রথম বড় ইনকামের টাকায় রাজীবকে একটা নতুন মোবাইল কিনে দিলো। রাজীব অবাক হয়ে বললো—
—“তুমি সংসারের ভরসা হয়ে উঠেছো।”
শুধু তাই নয়, সন্তানদের স্কুল ফি, বাড়ির খরচ—সব জায়গায় অর্পিতার অবদান দৃশ্যমান হয়ে উঠলো। একসময় যে আত্মীয়রা বলতো “এসব দিয়ে কিছু হয় না”, তারাই এখন প্রশংসা করে বলে—
—“তুমি সত্যিই আমাদের সবার জন্য উদাহরণ।”
সমাজের মানসিকতার পরিবর্তন
প্রতিবেশীরা, যারা প্রথমে ব্যঙ্গ করতো, তারাই এখন অর্পিতার কাছে আসে।
কেউ জিজ্ঞেস করে—
 “আমরা যদি বুটিক কাজ নিয়ে ভিডিও দিই, কেমন হয়?”
 “আমার মেয়েও নাচ জানে, ওর জন্য কিছু পরামর্শ দেবে?”
অর্পিতা হাসিমুখে সবার প্রশ্নের উত্তর দেয়। তার মনে পড়ে, একসময় এই মানুষগুলিই তাকে নিয়ে মজা করতো। কিন্তু সে কারও প্রতি রাগ পোষণ করে না। বরং ভাবে—“আমার সাফল্য যদি অন্যদের অনুপ্রাণিত করে, তবেই তো এর মূল্য আছে।”
নারীদের অনুপ্রেরণা
একদিন এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ে তাকে মেসেজ করলো—
—“দিদি, আমি আঁকতে ভালোবাসি। কিন্তু পরিবার মনে করে এতে সময় নষ্ট হয়। আমি কি এগোতে পারবো?”
অর্পিতা তাকে উৎসাহ দিয়ে বললো—
—“অবশ্যই পারবে। তুমি তোমার প্রতিভাকে মানুষের সামনে আনো, দেখবে একদিন সবাই মেনে নেবে।”
আরেকজন তরুণী বললো—
—“আমি চাকরি পাইনি। খুব হতাশ লাগছে। কিন্তু আপনার ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, আমিও কিছু করতে পারবো।”
অর্পিতা বুঝতে পারলো, তার কনটেন্ট শুধু বিনোদন বা টিপস নয়—এটা মানুষের জীবনে আলোর মতো কাজ করছে।
বড় সুযোগ
দুই বছর পার হতে না হতেই অর্পিতার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা কয়েক লাখ ছাড়িয়ে গেল। একদিন স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেল তাকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকলো।
প্রথমে খুব নার্ভাস লাগছিল। কিন্তু রাজীব বললো—
—“তুমি তো প্রতিদিনই মানুষের সামনে কথা বলো। আজও তাই করবে, শুধু ক্যামেরার সংখ্যা একটু বেশি।”
সাক্ষাৎকারে অর্পিতা বললো—
—“আমি চাই, প্রতিটি নারী নিজের প্রতিভায় বিশ্বাস করুক। সমাজ হয়তো শুরুতে বিরোধিতা করবে, কিন্তু আপনি যদি ধৈর্য ধরে এগোন, একদিন সেই সমাজই আপনাকে স্বীকৃতি দেবে।”
এই সাক্ষাৎকার সম্প্রচারের পর তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে গেল।
পরিবারের গর্ব
অর্পিতার সন্তানরা এখন মায়ের সাফল্যে ভীষণ খুশি। স্কুলে বন্ধুরা বলে—
—“তোমার মা তো ইউটিউবার, কত সুন্দর কথা বলেন!”
অর্পিতা বুঝতে পারে, তার সন্তানরা গর্ববোধ করছে। আগে যেটা ছিল প্রশ্ন—“মা কেন ভিডিও বানায়?”, আজ সেটাই গর্বে পরিণত হয়েছে।
রাজীবও আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। একসময় যে সংসারের চাপ তাকে ভেঙে ফেলতো, এখন সেই চাপ ভাগাভাগি হয়ে গেছে।
সাফল্যের পথ ধরে
তৃতীয় বছরে অর্পিতা নিজের ছোট্ট একটি স্টুডিও বানালো। ঘরের এক কোণ সাজিয়ে নিলো আলো, ক্যামেরা, ব্যাকগ্রাউন্ড দিয়ে। সেখানে নিয়মিত ভিডিও শুট করে।

এখন তার আয় শুধু ইউটিউব নয়, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ব্র্যান্ড কলাবরেশন থেকেও আসে। সংসার স্বচ্ছল হয়েছে, এমনকি বাবা-মাকেও আর্থিক সাহায্য করতে পারছে।
সবচেয়ে বড় কথা, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে গেছে। যে পরিবার একসময় সন্দেহের চোখে দেখতো, এখন গর্ব করে বলে—
—“আমাদের বৌমা/মেয়ে এখন সবার অনুপ্রেরণা।”
বার্তা ও শিক্ষা
অর্পিতার জীবনের গল্প শুধু তার ব্যক্তিগত সাফল্যের নয়। এটা একটা বার্তা—
- সমালোচনা সাময়িক, কিন্তু প্রচেষ্টা স্থায়ী।
- নারীর ক্ষমতা সংসারেই সীমাবদ্ধ নয়, সে চাইলে সমাজকেও পরিবর্তন করতে পারে।
- ডিজিটাল যুগে সোশ্যাল মিডিয়া শুধু বিনোদন নয়, জীবিকার শক্তিশালী মাধ্যম।
- পরিবারের সমর্থন থাকলে নারী যে কোনো স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।
আজ অর্পিতা শুধু এক গৃহিণী নন, বরং এক অনুপ্রেরণার প্রতীক।
সমাপ্তি
অর্পিতা জানে, পথ এখনও শেষ হয়নি। সামনে আরও নতুন স্বপ্ন, নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। কিন্তু সে বিশ্বাস করে—
“যতদিন সাহস আছে, ততদিন কোনো বাধাই আমাকে থামাতে পারবে না।”
তার গল্প প্রমাণ করেছে—
 এক নারীর সংকল্প,
 স্বামীর সমর্থন,
 আর অদম্য প্রচেষ্টা
—এই তিন মিলে অসম্ভবকেও সম্ভব করে তুলতে পারে।
আজ যে নারী একসময় সমালোচনার বোঝা বইছিল, সে-ই এখন অসংখ্য নারী-পুরুষের কাছে আলোর প্রদীপ।

 
		 
			 
			 
			 
			 
			