প্রিয়তমা – Part-1
প্রথম দেখা
“বৃষ্টির ফোঁটায় ভেজা সকাল, আর আমি ভাবছি—প্রিয়তমা কোথায়, তুমি কি এখনও আমার অপেক্ষায় আছো?”
শরতের এক নরম সকাল।
কলকাতার রাস্তায় তখনও পুরো ভিড় জমেনি। গাছের পাতায় শিশিরের কণা, দূর থেকে ভেসে আসছে ট্রামের ঘণ্টা।
আকাশে সাদা তুলোর মতো মেঘ, বাতাসে হালকা ঠান্ডা—একটা প্রশান্ত, নির্মল সকাল।
এই সময়টায় রণজয় প্রায়ই কলেজে একটু আগে চলে আসে। ওর পছন্দ — ভিড়ের আগে চুপচাপ বসে থাকা, করিডোরের জানালা দিয়ে সূর্যের আলো ধীরে ধীরে ঢোকা দেখা।
সেদিনও তাই। হাতে বই, কানে হেডফোন, মৃদু সুরে বাজছিল হেমন্তের গান — “এই পথ যদি না শেষ হয়…”
হঠাৎই ওর চোখ পড়ল সামনের গেটের দিকে।
একটা মেয়ে হাঁটছে ধীরে ধীরে — সাদা-নীল শাড়ি, খোলা চুল, বই বুকে চেপে ধরে, মুখে হালকা হাসি।
আলোর ফাঁকে যেন চারপাশ নিস্তব্ধ হয়ে গেল।
মেয়েটার প্রতিটি পদক্ষেপে যেন সময় থেমে আছে।
রণজয় মুহূর্তেই তাকিয়ে রইল, একদম নীরবে।
ওর মনে হলো, এমন কাউকে আগে কখনো দেখেনি—এমন শান্ত, এমন সরল, অথচ অদ্ভুত আকর্ষণীয়।
ওর মনে এক অজানা কম্পন জেগে উঠল, যেন কোথাও কিছু বদলে যাচ্ছে।
মেয়েটা কলেজের প্রাঙ্গণে ঢুকে চারপাশে তাকাল।
এক মুহূর্তের জন্য ওর চোখে চোখ পড়ল রণজয়ের।
দুই সেকেন্ডের নীরব চোখাচোখি—আর তাতেই যেন কিছু বলা হয়ে গেল, কোনো ভাষা ছাড়াই।

রণজয় জানে না, ওর নাম কী।
কিন্তু জানে, আজকের সকালটা অন্যরকম প্রিয়তমা।
ওর পাশে বসে থাকা বন্ধু অনিরুদ্ধ বলল,
“কাকে এত মন দিয়ে দেখছিস?”
রণজয় একটু চমকে বলল,
“না, কিছু না… নতুন কেউ এসেছে মনে হয়।”
মনে মনে প্রিয়তমা-র নাম দিতে ইচ্ছে করল—মেঘলা।
কারণ ওর চোখে ছিল মেঘের মতো গভীরতা, হাসিতে রোদের মতো উষ্ণতা।
সেদিন থেকে প্রতিদিন সকালটা যেন অন্যরকম হয়ে উঠল রণজয়ের জন্য।
ও দেখত, মেয়েটা গেট দিয়ে ঢোকে, একটু ধীরে হাঁটে, লাইব্রেরির পাশ দিয়ে যায়, তারপর ক্লাসে ঢোকে।
ওর চলাফেরার মধ্যে একটা ছন্দ আছে—একটা সুর, যা ধীরে ধীরে রণজয়ের মনে গেঁথে যেতে লাগল।
কখনো দূর থেকে শুধু তাকিয়ে থাকত, কখনো ইচ্ছে করত সামনে গিয়ে কথা বলতে।
কিন্তু বুকের ভেতর একটা অচেনা ভয় আটকে দিত।
যেন ভয় পেত—একটা ভুল শব্দ বললে এই জাদুকরী মুহূর্তটা ভেঙে যাবে।
সেই ভয়, সেই অনিশ্চয়তা, সেই মুগ্ধতা—সব মিলিয়ে রণজয়ের জীবনের প্রিয়তমা-র এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়ে গেল।
একদিন দুপুরে, কলেজের ক্যান্টিনের পাশে বসে ও ওর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল।
তখন দেখল, মেয়েটা পাশের টেবিলে বসে চা খাচ্ছে, একটা বই খুলে পড়ছে।
কভারটা চোখে পড়ল—রবীন্দ্রনাথের গীতবিতান।
রণজয় অজান্তেই হাসল।
মনে মনে ভাবল—“বাহ, কবিতা ভালোবাসে!”
ওর মনটা কেমন যেন হালকা হয়ে গেল।
মনে হলো, এই মেয়েটা হয়তো ঠিক আমার মতোই—চুপচাপ, স্বপ্নবাজ, আর হয়তো একটু একলা।
বিকেলবেলা ক্লাস শেষের পর, করিডোর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল মেয়েটা।
হঠাৎ একটা বই ওর হাত থেকে পড়ে গেল।
রণজয় দ্রুত এগিয়ে গিয়ে বইটা তুলে দিল।
মেয়েটা হেসে বলল, “ধন্যবাদ।”
ওর কণ্ঠে ছিল নরম সুর, ঠিক বসন্তের বাতাসের মতো।
রণজয়ের মনে হলো, জীবনের সব শব্দ থেমে গেছে সেই এক শব্দে—
“ধন্যবাদ।”
সেদিন রাতে রণজয় জানালার ধারে বসে ছিল।
আকাশে চাঁদ, হালকা বাতাস, দূরে ট্রেনের সিটি।
ওর মনে বারবার ভেসে আসছিল প্রিয়তমা-র সেই হাসিটা।
হয়তো এভাবেই একদিন ভালোবাসা শুরু হয়—
কোনো নাম না জানা মেয়ের হাসি দিয়ে, কোনো অনুচ্চারিত মুহূর্তে।
রণজয় জানত না, মেঘলার সঙ্গে এই প্রথম দেখা তার জীবনের গতি চিরতরে বদলে দেবে।
কিন্তু সেই মুহূর্তেই তার হৃদয়ে বীজ রোপিত হয়েছিল—
এক প্রেমের, এক আকাঙ্ক্ষার, এক গল্পের—
যার নাম হবে “প্রিয়তমা”।
আলাপের শুরু
কলেজের দিনগুলো আস্তে আস্তে ছন্দে ঢুকে গেছে। ক্লাস, ক্যান্টিন, করিডোরের হাসাহাসি—সব কিছু একইরকম, অথচ রণজয়ের কাছে সবকিছু বদলে গেছে।
কারণ, এখন প্রতিটা সকাল মানেই মেঘলার হাসি দেখা, প্রতিটা বিকেল মানেই ওর চলার শব্দে মন হালকা হয়ে যাওয়া।
তবু এখনো কোনো কথা হয়নি।
শুধু চোখে চোখে কিছু অদৃশ্য বাক্য বিনিময়, কিছু নীরব হাসি, কিছু অজানা টান।
রণজয় জানে, কিছু বলা দরকার… কিন্তু কীভাবে?
মনে মনে বারবার ভাবছে, “আজ বলব।”
তারপর মেঘলা পাশ কাটিয়ে চলে গেলে বুকের ভেতরটা কেমন যেন জমে যায়।
একদিন সকালে, কলেজে পৌঁছে দেখে বৃষ্টি ঝরছে।
আকাশটা ধূসর, গাছের পাতাগুলো ভিজে টলটল করছে।
রণজয় ভিজতে ভিজতে ছুটল লাইব্রেরির দিকে—ওর প্রিয় জায়গা।
দরজাটা খুলতেই দেখল—ভিতরে বসে আছে মেঘলা।
টেবিলের উপর ছাতা, বই খোলা, চোখ গভীর মনোযোগে।
বৃষ্টির আলো জানালা দিয়ে ঢুকে পড়েছে, ওর মুখে পড়ে যেন একদম ছবির মতো দৃশ্য তৈরি করছে।
রণজয়ের বুকের ভেতর কেমন একটা শিহরণ উঠল।
মুহূর্তের দ্বিধা কাটিয়ে, ধীরে ধীরে ও এগিয়ে গেল।
“তুমি কি প্রতিদিন এত সকালে আসো?” — ওর কণ্ঠ কাঁপা কাঁপা, তবু নরম।
মেঘলা একটু তাকিয়ে হেসে বলল,
“হ্যাঁ, নীরবতার মধ্যে পড়াটা ভালো লাগে। সবাই আসার আগের এই সময়টুকু নিজের মতো লাগে।”
রণজয় হাসল, “তুমি কবিতা পড়ছো?”
“হ্যাঁ,” ওর চোখে ঝলক দিল, “রবীন্দ্রনাথের কবিতা—‘বিপদে মোরে রক্ষা করো…’।”

ওদের চোখে তখন একটা অদ্ভুত বোঝাপড়া জন্ম নিচ্ছে।
যেন দু’জনেই একই পৃথিবীর বাসিন্দা—যেখানে কথার দরকার নেই, অনুভূতিই যথেষ্ট।
রণজয় বলল, “আমি মাঝেমাঝে লিখি। ছোটখাটো কবিতা।”
মেঘলা অবাক হয়ে তাকাল, “সত্যি? তাহলে একদিন শুনব।”
রণজয়ের মুখে অচেনা হাসি ফুটল।
এই প্রথম কেউ ওর লেখার কথা শুনতে চাইল।
বাইরে তখন বৃষ্টি থেমেছে। জানালায় জলবিন্দু গড়িয়ে পড়ছে।
মেঘলা বই বন্ধ করে বলল, “চলো, ক্যান্টিনে চা খাই? এই আবহাওয়ায় চা ছাড়া চলে?”
রণজয় কিছুটা অবাক, কিছুটা খুশি।
“চলো,” বলে হাঁটতে লাগল ওর সঙ্গে।
ক্যান্টিনের কোণে বসে দু’জন চুপচাপ চা খাচ্ছে।
চারপাশে কোলাহল, কিন্তু তাদের মাঝখানে এক নরম নীরবতা।
মেঘলা বলল, “তুমি কেমন কবিতা লেখো?”
রণজয় একটু ভেবে বলল, “যা মনে হয়, তাই লিখি। বেশিরভাগই একতরফা ভালোবাসা নিয়ে।”
মেঘলা মৃদু হাসল, “মানে, এখনো কাউকে বলোনি?”
রণজয় উত্তর দিল না। শুধু হালকা হাসল।
ওর চোখে তখন একরাশ লজ্জা, সঙ্গে মুগ্ধতা।
চায়ের ধোঁয়া ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে, অথচ তাদের মধ্যে এক নতুন গল্পের শুরু হয়ে গেছে।
সেদিন ক্লাসে ফেরার পথে মেঘলা হঠাৎ বলল,
“তুমি খুব চুপচাপ।”
রণজয় বলল, “হয়তো তাই, কারণ শব্দে সব বলা যায় না।”
মেঘলা একটু থেমে বলল, “তুমি জানো, আমি চুপচাপ মানুষ পছন্দ করি।”
ওর কথায় রণজয়ের বুকের ভেতরটা নরম হয়ে গেল।
যেন কেউ ভিতরের সব ভয় মুছে দিল একটুখানি হাসিতে।
সেই দিন থেকে ওদের দেখা আরও বাড়ল।
লাইব্রেরিতে পাশাপাশি বসা, ক্যান্টিনে ভাগ করে চা খাওয়া, ক্লাসে একসঙ্গে প্রজেক্ট বানানো—সবকিছুর মধ্যেই এক অদৃশ্য সেতু তৈরি হতে লাগল।
রণজয় এখন প্রতিদিন লিখত—কবিতা, ডায়েরি, নোট—সবকিছুতেই মেঘলার ছায়া।
আর মেঘলা ওর লেখা পড়লে হেসে বলত,
“তুমি তো একদিন বড় কবি হবে।”
রণজয়ের মনে হতো, যদি সেই কবিতার পাতায় একবার লিখতে পারত—
“তুমি-ই আমার অনুপ্রেরণা, আমার প্রিয়তমা।”
কিন্তু সেই শব্দটা তখনও বলা হয়নি।
কেবল সময় অপেক্ষা করছে, ঠিক যেন শরতের বিকেলে জমে থাকা কোনো স্বপ্নের মতো।
ভালোবাসার স্বীকারোক্তি
দিন কেটে যাচ্ছে, ঋতুর পালা বদলাচ্ছে, কিন্তু রণজয় আর মেঘলার সম্পর্কের বন্ধন যেন আরও গভীর হচ্ছে।
কলেজের প্রতিটা কোণ, প্রতিটা করিডোর, প্রতিটা হাসি—সবকিছুর মধ্যেই এখন তাদের উপস্থিতি মিশে গেছে।
তারা এখন প্রায় প্রতিদিনই একসাথে সময় কাটায়।
কখনো লাইব্রেরির নীরবতায় পাশাপাশি বসে, কখনো ক্যান্টিনে চায়ের কাপে গল্প জমে ওঠে, কখনো ক্লাস শেষে গাছতলায় বসে রোদে মুখ রাখে দু’জন।
সবকিছু এত স্বাভাবিক, অথচ এত গভীর যে, কেউ আলাদা করতে পারবে না — বন্ধুত্ব কোথায় শেষ আর ভালোবাসা কোথা থেকে শুরু।
মেঘলার চোখে কখনো অদ্ভুত এক কোমলতা খেলা করে, আর রণজয় প্রতিবারই হারিয়ে যায় সেই দৃষ্টিতে।
ও বুঝে ফেলেছে, এটা আর শুধু বন্ধুত্ব নয়।
এটা এমন এক অনুভূতি, যার ভাষা খুঁজে পাওয়া যায় না—যার নাম ভালোবাসা।
সেদিন বিকেলে ক্লাস শেষ হয়ে গেছে।
আকাশে শরতের নরম আলো, চারপাশে হালকা বাতাস।
কলেজের মাঠে ছাত্রছাত্রীদের ভিড় কমে আসছে।
রণজয় লাইব্রেরির পাশের পুরনো গাছটার নিচে দাঁড়িয়ে আছে—হাতে একটা নীল কভার দেওয়া নোটবুক।
মেঘলা আসবে বলেছিল।
মনের মধ্যে রণজয়ের তখন ঝড়—যেন বুকের ভিতর ঢেউ খেলছে একসাথে ভয়, আশা, আর ভালোবাসা।
ও আজ বলতে চায় নিজের মনের কথা।
বারবার ভেবেছে, “যদি না বলে আফসোস হবে সারাজীবন।”
মেঘলা এল, হাতে বই, মুখে সেই চিরচেনা শান্ত হাসি।
রণজয় বলল, “তুমি দেরি করেছো।”
মেঘলা হাসল, “বৃষ্টি পড়ছিল, তাই একটু আটকে গিয়েছিলাম।”
বাতাসে ভেসে এলো শিউলি ফুলের গন্ধ।
দু’জন চুপচাপ দাঁড়িয়ে, কোনো কথাই যেন যথেষ্ট নয় এই মুহূর্তে।
রণজয় নোটবুকটা এগিয়ে দিল।
“তোমার জন্য কিছু লিখেছি,” প্রিয়তমা, বলল ও।
মেঘলা নোটবুক খুলে পড়তে শুরু করল।
পাতার উপর লেখা ছিল—
তুমি যদি না থাকো পাশে,
এই শহরের ভিড়ে হারিয়ে যাব আমি।
তোমার হাসিটাই আমার সকাল,
তোমার নীরবতাই আমার কবিতা।
তুমি যদি একবার বলো,
আমি আজীবন তোমার ছায়া হয়ে বাঁচব।
মেঘলার চোখ থেমে গেল শেষ লাইনে।
ও মাথা তুলল—রণজয় তখন সরাসরি তাকিয়ে আছে ওর দিকে।
রণজয় ধীরে বলল,
“মেঘলা, আমি জানি না তুমি কী ভাবো, কিন্তু তোমাকে ছাড়া একটা দিনও কল্পনা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
তুমি বুঝতে পারছো তো? আমি তোমায় ভালোবাসি… খুব।”
চারপাশে যেন হঠাৎ নিস্তব্ধতা নেমে এলো।
হাওয়া থেমে গেল, গাছের পাতা নড়ল না।
মেঘলার চোখে বিস্ময়, ঠোঁটে নরম কম্পন।
ও ধীরে বলল,
“রণজয়… আমি ভয় পাই।”
রণজয় চমকে জিজ্ঞেস করল, “কিসের ভয়?”
“এই ভালোবাসা যদি একদিন হারিয়ে যায়?
যদি সময় আমাদের আলাদা করে দেয়?”
রণজয় এক পা এগিয়ে গিয়ে ওর হাত ধরল।
“সময় যা-ই করুক, আমি তোমায় হারাতে দেব না।
যদি পৃথিবী উল্টে যায়, তবু আমি তোমায় খুঁজব—আমার প্রিয়তমা।”
ওর চোখে এমন এক দৃঢ়তা, এমন এক ভালোবাসার অঙ্গীকার, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
মেঘলার চোখে জল চিকচিক করল।
ও চুপচাপ মাথা নামিয়ে বলল, “তুমি পাগল!”
রণজয় হেসে বলল, “তোমার জন্যই পাগল।”
দু’জনের মাঝে তখন কেবল নীরবতা।
শব্দ নেই, প্রশ্ন নেই, কেবল এক গভীর বোঝাপড়া।
সেই নীরবতার ভেতরেই জন্ম নিল এক অমলিন সম্পর্ক—যেখানে ভালোবাসা মানে কোনো প্রতিশ্রুতি নয়, বরং এক অনন্ত বিশ্বাস।
সেদিন বিকেলের আকাশে সূর্য ডুবছিল ধীরে ধীরে।
গাছের পাতায় আলো ঝলমল করছিল, বাতাসে হালকা ঠান্ডা।
রণজয় আর মেঘলা গাছের নিচে পাশাপাশি বসে ছিল—চুপচাপ।
কেউ কিছু বলছিল না, তবু মনে হচ্ছিল, সবকিছুই বলা হয়ে গেছে।

আর সেই মুহূর্তেই তারা দু’জন জানল—
জীবনের গল্প এখন একসাথে চলবে,
যার নাম—প্রিয়তমা।
ভালোবাসা সবসময় মধুর হয় না—
কখনো কখনো তা আসে ঝড়ের মতো, ভাঙে স্থিরতা, দেয় ভয়ংকর পরীক্ষা।
রণজয় আর মেঘলার জীবনে সেই ভয়ংকর সময় আসতে চলেছে।
দু’জনই জানে—একসাথে থাকার জন্য লড়াই করতে হবে।
কিন্তু ভাগ্য তাদের পথে কেমন বাঁধা দেবে, কে জানে?
এই ভয়ংকর অজানা পথের উত্তর পাওয়া যাবে শুধু সময়ের হাতে।
 অপেক্ষা করুন প্রিয়তমা Part 2
যেখানে দূরত্ব, বিচ্ছেদ, আবার প্রত্যাবর্তন—সব মিলিয়ে তাদের ভালোবাসার সত্যিকারের পরীক্ষা হবে।
রণজয় ও মেঘলার গল্প এখনও শেষ হয়নি…
তাদের প্রিয়তমা এখনো অপেক্ষা করছে, বৃষ্টি ভেজা আবহাওয়ায়, সময় ও ভাগ্যের মাঝখানে।

 
		 
			 
			 
			 
			 
			