হারানো নগরীর পথে
বইয়ের পাতায় গুপ্ত রহস্য
কলকাতার প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ঋতব্রত সেন ছিলেন নিভৃতচারী মানুষ। ছাত্রদের কাছে তিনি কঠিন স্বভাবের হলেও ভেতরে ছিলেন অদ্ভুত কৌতূহলী। পুরোনো পুঁথি, প্রাচীন স্থাপত্য আর হারিয়ে যাওয়া সভ্যতা নিয়ে পড়াশোনা ছিল তাঁর নেশা।
একদিন বর্ষার বিকেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পুরোনো আর্কাইভে ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎ তাঁর চোখে পড়ে চামড়ায় বাঁধানো এক অতি প্রাচীন বই। পাতাগুলো হলদে, ছত্রাকের গন্ধে ভরা। বইয়ের মাঝখানে রাখা ছিল এক ভাঁজ কাগজ। সাবধানে খুলে তিনি বিস্মিত হয়ে দেখলেন—একটি হাত-আঁকা মানচিত্র!
মানচিত্রে আঁকা পাহাড়, নদী আর কিছু অদ্ভুত প্রতীক। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়—নিচে লাল কালি দিয়ে লেখা আছে, “হারানো নগরীর পথে।”

ঋতব্রতের বুক ধক করে উঠল।
—”হারানো নগরী? এ কি তবে কিংবদন্তি ‘সুবর্ণপুর’? যেটার কথা লোককথায় শোনা যায়?”
তিনি মানচিত্রে চোখ বুলিয়ে দেখলেন কিছু জায়গায় গুপ্ত সংকেত লেখা আছে। মনে হলো, শুধুমাত্র প্রত্নতত্ত্বে গভীর জ্ঞানী কেউই বুঝতে পারবে এর মানে।
সন্ধ্যা নেমে আসছিল। বাইরের জানলায় বৃষ্টির ফোঁটা টুপটাপ করে পড়ছিল। লাইব্রেরির আলো কমে এলে যেন মানচিত্রের প্রতীকগুলো আরও অদ্ভুতভাবে ঝলমল করতে লাগল।
ঋতব্রত বুঝলেন—এ আবিষ্কারকে অবহেলা করা যাবে না।
তাঁর ভেতরে ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে লাগল—
কে রেখেছিল এই মানচিত্র?
আসলেই কি কোনো নগরী আছে?
আর সেখানে পৌঁছতে গেলে তাঁকে কী কী বিপদের মুখোমুখি হতে হবে?
সেদিন রাতে ঘরে ফেরার সময় তাঁর চোখেমুখে অদ্ভুত এক দীপ্তি। তিনি জানতেন, এ যাত্রা আর একার নয়। তাঁকে প্রয়োজন হবে একজন তরুণ ছাত্র, যে তাঁর সঙ্গে বিপদ-অভিযানে নামতে পারবে, আর একজন স্থানীয় গাইড, যে অরণ্য ও পাহাড়ের প্রতিটি আঁকাবাঁকা পথ চিনে।
এক নতুন অভিযাত্রার সূচনা হয়ে গেল সেই রাতে।
অভিযাত্রীদের যাত্রা শুরু
ঋতব্রত সেন এক রাতও শান্তিতে ঘুমোতে পারলেন না। মাথার ভেতরে ঘুরছিল মানচিত্রের আঁকাবাঁকা রেখা, অদ্ভুত প্রতীক আর সেই লাল কালি দিয়ে লেখা শব্দ— “হারানো নগরীর পথে।”
পরের দিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তিনি খুঁজলেন তাঁর প্রিয় ছাত্র সৌরদীপ চক্রবর্তীকে। ইতিহাস বিভাগে পড়লেও সৌরদীপের ভেতরে ছিল ভীষণ দুঃসাহস আর কৌতূহল।
ঋতব্রত ধীরে ধীরে সবটা খুলে বললেন। মানচিত্র হাতে দিতেই সৌরদীপ বিস্ময়ে চুপ হয়ে গেল।
—“স্যার, এটা কি তবে সত্যি? কোনো লুকানো সভ্যতার ঠিকানা?”
ঋতব্রত হেসে বললেন,
—“সত্যি না জানি, তবে খুঁজে বের করাটাই আমাদের কাজ।”
অভিযান শুরু করতে হলে একজন গাইডের দরকার ছিল। সৌরদীপের পরামর্শে তাঁরা যোগাযোগ করলেন করিম শেখ নামে এক অভিজ্ঞ স্থানীয় গাইডের সঙ্গে। করিম বহু বছর ধরে অরণ্যের পথ দেখিয়েছেন, পাহাড় পেরিয়েছেন। তাঁর চোখে-মুখে একরাশ সরলতা, কিন্তু ভেতরে ছিল নিখুঁত দক্ষতা।
তিনজনের দল তৈরি হল।
এক বর্ষার ভোরে, আকাশে মেঘের ভেলা ভেসে বেড়াচ্ছে, কোলকাতার ব্যস্ততা পেছনে ফেলে তাঁরা ট্রেনে চেপে রওনা দিলেন উত্তর-পূর্ব ভারতে। গন্তব্য—সেই অরণ্য, যেখান থেকে মানচিত্র শুরু হয়েছে।
যাত্রার প্রথম দিনগুলোয় উত্তেজনা বেশি থাকলেও অচেনা আশঙ্কা তাদের মনে ঘুরছিল। করিম বলল—
—“বাবু, যে জায়গায় যাচ্ছি, ওখানে মানুষ খুব কম যায়। রাত নামলে অরণ্যে অদ্ভুত শব্দ শোনা যায়। কেউ কেউ বলে, ওখানে নাকি এখনও পুরোনো অভিশাপ লুকিয়ে আছে।”
ঋতব্রত শান্ত গলায় উত্তর দিলেন—
—“ভয় নেই করিম। যত রহস্যই থাকুক, ইতিহাসের পাতায় হারিয়ে যাওয়া নগরী আমাদের ডাকছে।”
সৌরদীপ মানচিত্র খুলে দেখল। পথে আঁকা চিহ্নগুলো ক্রমে স্পষ্ট হচ্ছে। যেন অরণ্যের ভেতর তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ আগেই লেখা আছে।
ট্রেন থেকে নেমে পাহাড়ি পথে হাঁটা শুরু হতেই তাদের সামনে এল সবুজে মোড়া ঘন বন। বাতাসে মাটির গন্ধ, পাখির ডাক, আর দূরে পাহাড়ি ঝরনার শব্দ।
তিনজনের চোখেমুখে তখন একটাই অনুভূতি—
অভিযান শুরু হয়ে গেছে।
কিন্তু তারা জানত না, এই পথ শুধু সৌন্দর্যেই ভরা নয়, অপেক্ষা করছে অদ্ভুত কিছু সংকেত আর অদৃশ্য বিপদ…
অরণ্যের অদ্ভুত সংকেত
অরণ্যের ভেতর ঢুকতেই চারপাশে যেন অন্য এক জগৎ। বিশাল গাছের ডালপালা আকাশ ঢেকে দিয়েছে, সূর্যের আলো মাটিতে খুব কম পৌঁছায়। চারদিকে পাখির ডাক, ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ, আর অচেনা প্রাণীর চলাফেরার আওয়াজ মিলেমিশে ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি করেছে।
ঋতব্রত, সৌরদীপ আর করিম সতর্কভাবে এগোচ্ছিলেন। করিমের হাতে ছিল একটি দা, পথের লতাগুল্ম কেটে এগোচ্ছিল। হঠাৎই সৌরদীপ থেমে গিয়ে চিৎকার করে বলল—
—“স্যার! দেখুন তো এটা কী?”
গাছের গুঁড়িতে খোদাই করা ছিল এক অদ্ভুত প্রতীক—ত্রিভুজ আর বৃত্ত মিলিয়ে তৈরি জটিল নকশা। ঋতব্রত কাগজে আঁকাটি নকল করে নিলেন।
—“এটা কোনো দিকনির্দেশের সংকেত… হয়তো যারা নগরী লুকিয়ে রেখেছিল, তারা পথচিহ্ন রেখে গেছে।”

আরও কিছুদূর যেতেই তাঁরা দেখতে পেলেন পাথরের স্তূপের ওপরে অদ্ভুত এক শিলালিপি। লিপি খুব পুরোনো, বাংলার সঙ্গে মিল আছে, আবার সম্পূর্ণ আলাদা। ঋতব্রত ধীরে ধীরে পড়তে লাগলেন—
—“‘যে আসবে নগরীর পথে, তাকে আগে অরণ্যের রহস্য উন্মোচন করতে হবে।’”
সৌরদীপ কৌতূহলে বলল,
—“মানে কি তবে আমাদের আরও ধাঁধা মেলাতে হবে?”
ঋতব্রত গম্ভীর মুখে মাথা নেড়ে বললেন,
—“হ্যাঁ। ইতিহাস কখনো সহজে সত্যি প্রকাশ করে না।”
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে তাঁরা অরণ্যের ভেতরেই তাবু ফেললেন। চারদিকে শুধু জোনাকির আলো আর দূরের অচেনা শব্দ। করিম কণ্ঠ নামিয়ে বলল—
—“বাবু, এই বনে রাতে সাবধানে থাকবেন। এখানে কেউ নজর রাখে… এমন অনুভূতি আগেও পেয়েছি।”
রাত গভীর হলে হঠাৎই শোনা গেল পায়ের শব্দ—
টুপ… টুপ… টুপ…
সৌরদীপ চমকে উঠে বলল—
—“স্যার, আমাদের তাবুর বাইরে কেউ হাঁটছে!”
ঋতব্রত ধীরে ধীরে মানচিত্রটা বের করলেন। আলো ফেলে দেখলেন—মানচিত্রের কিছু অংশে যেন নিজে নিজেই নতুন দাগ দেখা দিচ্ছে!
এ যেন তাদের যাত্রার প্রতিটি পদক্ষেপ মানচিত্রে লেখা হয়ে যাচ্ছে।
আর ততক্ষণে বাইরে অরণ্যের অন্ধকারে কিছু অজানা চোখ যেন তাকিয়ে আছে তাদের দিকে…
মৃত্যুফাঁদের ছায়া
রাতের অন্ধকার যেন আরও গাঢ় হয়ে উঠেছিল। তাবুর ভেতরে তিনজন নিঃশব্দে বসে আছেন। বাইরে টুপটাপ পায়ের শব্দ যেন ক্রমে কাছে আসছে। হঠাৎ শব্দ থেমে গেল। অরণ্যের বাতাস থমথমে।
করিম ফিসফিস করে বলল—
—“আমি শপথ করে বলছি, এখানে আমাদের ছাড়া আরও কেউ আছে।”
ঋতব্রত ধীরে ধীরে তাবুর চেইন খুললেন। টর্চের আলো ফেলতেই দেখা গেল—তাঁদের চারপাশে মাটিতে অদ্ভুত দাগ টেনে রাখা হয়েছে, যেন বৃত্তাকার এক চিহ্ন। কারা করল এটা? কখন করল? কেউ টেরই পেল না।
সকালে আবার যাত্রা শুরু করতেই বিপদ যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল। পথের মাঝখানে পাথরের গায়ে খোদাই করা লেখা—
“যে পথ বেছে নেবে, সেই পথই তার ভাগ্য নির্ধারণ করবে।”
দুটি রাস্তা সামনে। একদিকে ঘন অরণ্যের আঁকাবাঁকা স্রোত, অন্যদিকে পাহাড়ের সরু গিরিখাত। করিম আতঙ্কিত—
—“দুটোই ভয়ানক পথ। ভুল পথে গেলে বাঁচার উপায় নেই।”
ঋতব্রত মানচিত্র খুঁটিয়ে দেখলেন। কিন্তু মানচিত্রে এখানে কিছু লেখা নেই! যেন ইচ্ছে করেই ফাঁকা রাখা হয়েছে।
সৌরদীপ বলল—
—“স্যার, হয়তো আমাদের পরীক্ষা নিতে চাইছে। ভুল করলে আমরা শেষ।”
শেষমেশ তাঁরা গিরিখাতের পথ বেছে নিলেন। কিন্তু কয়েক গজ যেতেই হঠাৎ মাটি ভেঙে যেতে লাগল। সৌরদীপ সামান্য দূরে পড়ে যেতেই করিম দৌড়ে গিয়ে তাকে টেনে তোলে। নিচে উন্মত্ত নদীর স্রোত—একেবারে মৃত্যুফাঁদ!
ঋতব্রত শ্বাস ফেলে বললেন—
—“এ পথগুলো ইচ্ছে করেই এমনভাবে বানানো, যাতে আগন্তুকরা মরেই যায়।”
ঠিক তখনই ওপাশের গাছের আড়াল থেকে শোনা গেল অচেনা গলার আওয়াজ—
—“ফিরে যান… নগরী তোমাদের জন্য নয়।”
তিনজন স্তব্ধ হয়ে গেলেন। আলো ফেলে দেখলেন কয়েকজন মুখোশ পরা মানুষ ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বর্শা আর মশাল।
করিম ভয়ে ফিসফিস করে বলল—
—“আমি ওদের চিনি না… তবে এরা নিশ্চয়ই ওই হারানো নগরীর পাহারাদার।”
সৌরদীপ হাত কাঁপতে কাঁপতে বলল—
—“স্যার… তাহলে কি আমরা ভুল জায়গায় চলে এসেছি?”
ঋতব্রত চোখ শক্ত করে মানচিত্র আঁকড়ে ধরলেন। তাঁর গলা দৃঢ়—
—“না। এরা যতই ভয় দেখাক, নগরী আমাদের হাতছাড়া হবে না। সত্যের পথে মৃত্যু থাকলেও আমরা এগোব।”
কিন্তু তিনি জানতেন না—সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা লুকিয়ে আছে তাঁদের নিজেদের দলের ভেতরেই…
হারানো নগরীর দ্বারপ্রান্তে
মুখোশধারীরা হঠাৎই ছায়ার ভেতর মিলিয়ে গেল। যেন তারা কেবল সতর্কতা জানাতে এসেছিল। ঋতব্রত, সৌরদীপ আর করিম কিছুক্ষণ নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে রইলেন। অরণ্যের বাতাস আরও ভারী হয়ে উঠেছে, যেন প্রতিটি গাছ তাদের গোপন দৃষ্টি দিয়ে দেখছে।
পরদিন ভোরে মানচিত্রের শেষ অংশে আঁকা প্রতীক মেলাতে মেলাতে তারা পৌঁছোল পাহাড়ের এক লুকানো গুহার সামনে। গুহার প্রবেশপথ বিশাল পাথরে ঢাকা, আর তার গায়ে খোদাই করা শিলালিপি—
“যে সত্য জানবে, সে আর ফিরবে না।”
সৌরদীপের গলা শুকিয়ে গেল।
—“স্যার, এর মানে কী? নগরী যদি এখানেই হয়, তবে ফিরতে না পারার কথা কেন লেখা?”
ঋতব্রত বললেন—
—“প্রাচীন সভ্যতারা সবসময়ই তাদের গোপন ধনসম্পদ রক্ষা করত অভিশাপ দিয়ে। তবে ভয় পেও না। ইতিহাসের সত্য কেউ থামাতে পারে না।”
করিম গুহার ভেতর মশাল নিয়ে এগোতে থাকল। হঠাৎ পাথরের দেওয়ালে আলো পড়তেই ফুটে উঠল প্রাচীন ভাস্কর্য—যোদ্ধা, রাজা, আর এক সমৃদ্ধ নগরীর দৃশ্য। এগিয়ে যেতেই দেখা গেল ভাঙা স্তম্ভ, মূর্তি, আর এক বিশাল চত্বরের অবশিষ্টাংশ।
হ্যাঁ—এটাই সেই হারানো নগরী!
কিন্তু আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। হঠাৎ করিম থেমে গিয়ে ঠাণ্ডা গলায় বলল—
—“স্যার, দুঃখিত… কিন্তু এই যাত্রায় আমি তোমাদের সহযাত্রী নই।”
ঋতব্রত আর সৌরদীপ স্তম্ভিত। করিম মশালের আলোয় সামনে এগিয়ে এসে কোমর থেকে বন্দুক বার করল।
—“এই নগরীর রহস্য আমি আগেই জানতাম। তোমরা কেবল আমার পথ সহজ করেছ। এখন এই ধ্বংসাবশেষের ভেতর যা আছে, সব আমার।”
সৌরদীপ চিৎকার করে উঠল—
—“তুমি বিশ্বাসঘাতক!”
ঋতব্রত শান্ত কিন্তু কঠিন গলায় বললেন—
—“করিম, তুমি হয়তো ধনসম্পদ নিতে পারবে। কিন্তু ইতিহাসের সত্য কখনো বিশ্বাসঘাতকের হাতে ধরা দেয় না।”
ঠিক তখনই গুহার ভেতর থেকে গর্জন করে ভেঙে পড়তে লাগল ছাদ। করিম ভয় পেয়ে দৌড় দিল, আর অন্ধকারের ভেতর মিলিয়ে গেল। তার পরিণতি কেউ জানল না।
ঋতব্রত আর সৌরদীপ প্রাণ বাঁচাতে দ্রুত বেরিয়ে এলেন। পেছনে পুরো গুহা ধসে পড়ল, হারানো নগরীর ধ্বংসাবশেষ আবারও ইতিহাসের অন্ধকারে চাপা পড়ে গেল।
বাইরে দাঁড়িয়ে দু’জন নিঃশ্বাস ফেললেন।
সৌরদীপ কণ্ঠ কাঁপিয়ে বলল—
—“স্যার, তবে কি আমরা ব্যর্থ?”
ঋতব্রত আকাশের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বললেন—
—“না, সৌরদীপ। ধনসম্পদ আমরা পাইনি, কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি নগরী সত্যিই ছিল। ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে হবে। এটাই আমাদের জয়।”
দূরে পাহাড়ি সূর্যের আলো মেঘ ছিঁড়ে বেরিয়ে আসছিল।
আর তাদের অভিযাত্রার শেষ হয়ে গেল—কিন্তু রহস্যের গল্প রয়ে গেল চিরকাল অমর হয়ে।

 
		 
			 
			 
			 
			 
			