বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী
কলকাতা, আগস্ট ১৯০৫।
শহরের আকাশ যেন সেদিন আরও ঘোলাটে। রাস্তাজুড়ে উত্তাল জনতা। মিছিলের ঢেউ, স্লোগানের বজ্রনিনাদ।
“বঙ্গভঙ্গ মানি না, মানব না!” — কণ্ঠগুলো যেন বুকে আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছে।
এই আন্দোলনের পটভূমিতে গড়ে উঠেছিল বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী, যা ইতিহাসের পাতায় অমরণীয় হয়ে থাকবে।
এই আন্দোলনের পটভূমিতে গড়ে উঠেছিল বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী। বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী সকলের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।
ঈশান যখন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে, তখন বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী তাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়।
সেই ভিড়ের ভেতরেই দাঁড়িয়ে ঈশান চক্রবর্তী।
বয়স মাত্র বাইশ, প্রেসিডেন্সি কলেজের ইতিহাস অনার্সের ছাত্র। কিন্তু বইয়ের পাতার বাইরে তাঁর আসল পড়াশোনা চলছে দেশের রাজপথে—পুলিশের লাঠির সামনে, ব্রিটিশ প্রশাসনের চোখ রাঙানিতে, আর জনগণের হৃদয় জয় করার আওয়াজে।
ঈশান বুঝতে পারে, বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী শুধুমাত্র ইতিহাস নয়, এটি একটি জীবন্ত প্রেক্ষাপট।
ঈশান জন্মেছিলেন হুগলি জেলার এক রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে। পিতা ছিলেন ইংরেজদের দপ্তরের মুন্সি—বিলেতি অনুগত, নির্ভার, ভীরু।
কিন্তু ঈশান ঠিক তার বিপরীত। তাঁর বুকের ভেতর যেন হাওড়া ব্রিজের মতো ইস্পাত, আর চোখে যেন বালিগঞ্জের উঠন্ত সূর্যের মতো জ্বলন্ত প্রতিজ্ঞা।
ঈশান যখন সে তরুণীর দিকে তাকিয়ে সে অনুভব করে, তার চোখে বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী যেন স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
ঈশানের মনে হয়, বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী তাদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করছে।
সেদিন বিকেলে, টাউন হলের উন্মুক্ত প্রান্তরে একটি প্রতিবাদসভা বসেছিল। চারদিকে মানুষ—শিক্ষিত যুবক থেকে রিকশাওয়ালা পর্যন্ত।
মঞ্চে উঠে বক্তৃতা শুরু করলেন ঈশান:
—
“বঙ্গভঙ্গ মানে শুধু দুটি প্রদেশ নয়, বঙ্গভঙ্গ মানে আমাদের ইতিহাসের পাঁজরে ছুরি! একদিকে হিন্দু, একদিকে মুসলমান—এভাবে কি আমরা বাঁচতে পারি? আমাদের ভাষা এক, কৃষ্টি এক, ভালোবাসাও এক—তবে এই অদৃশ্য রেখা কে টানলো আমাদের বুকে?”
—
ভীড়ে তখন নিঃশব্দ উত্তেজনা। হঠাৎ ঈশানের চোখ আটকে গেল সামনে বসে থাকা এক তরুণীর দিকে।
চোখে দীপ্তি, মুখে দৃঢ়তা। সাদা-কালো ধুতির মতো জামদানি, হালকা বোরখা দিয়ে চুল ঢাকা।
সে কোনো সাধারণ দর্শক নয়, তার চোখে ছিল প্রশ্ন। মৃদু অবজ্ঞা, কৌতূহল এবং… এক অদ্ভুত চেনা বেদনা।
আরিফা জানে, বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী তাদের জীবনে বিশাল পরিবর্তন আনতে পারে।
ঈশান থমকালেন এক মুহূর্ত। তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে—
কে এই মেয়ে? মিছিলের ভেতর এতো দৃঢ় চোখের কেউ থাকতেই পারে?
ঈশান ও আরিফার মধ্যে বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।
সন্ধ্যাবেলায়, সভা শেষ হওয়ার পর ঈশান বন্ধু জয়ন্তর সাথে বেরিয়ে আসছিলেন, তখনই পেছন থেকে একটি কণ্ঠ ভেসে এল।
—
“আপনার বক্তৃতা আবেগপূর্ণ ছিল, তবে কিছুটা সরলীকরণও ছিল না কি?”
—
পেছনে ফিরতেই দেখা গেল সেই মেয়েটি।
“আমি আরিফা ইসলাম। ঢাকার মসলিন জমিদার পরিবারের মেয়ে। কলকাতায় এসেছি এক আত্মীয়র বাড়ি, কিন্তু আন্দোলনের খবরে আর থাকতে পারিনি। সভায় এলাম, আপনাকে শুনলাম,” বলল সে।
ঈশান একটু থতমত খেলেও ঠান্ডা গলায় উত্তর দিলেন,
“সরলীকরণ বলছেন? দেশভাগ যদি সরলভাবে আমাদের হৃদয় চিরে দেয়, তবে তার উত্তরও সরল হতে পারে।”
আরিফা হেসে ফেলল।
“অত সহজ নয় ঈশানবাবু। আমি আপনার বক্তৃতায় উৎসাহ পেয়েছি, কিন্তু বাস্তবতা জানি। হিন্দু-মুসলমানের মেলবন্ধন আপনি বইতে পড়েছেন, আমি বাস্তবে দেখি তার ভাঙন।”
ঈশান মুগ্ধ চোখে তাকাল—এমন যুক্তিবাদী, বুদ্ধিদীপ্ত মেয়েকে আগে কোনোদিন দেখেনি।
সে বলল,
“তাহলে চলুন, বই আর বাস্তবতা একসাথে মিলিয়ে কিছু লিখি… বাংলার নতুন ইতিহাস।”
আরিফার চোখে একটুও দ্বিধা নেই। সে মৃদু হেসে মাথা নাড়ল।
সেদিন ছিল বঙ্গভঙ্গের প্রথম প্রহর,
আর সেই দিন থেকেই শুরু হল আরিফা আর ঈশানের অদ্ভুত, অসম্ভব অথচ অনিবার্য এক প্রেমের যাত্রা—
যার ভিত গড়ে উঠেছিল বিভক্ত বাংলার ঠিক মাঝখানে।
জাতিভেদের ফাঁকেও প্রেম
বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী
কলকাতা, সেপ্টেম্বার ১৯০৫।
শহর তখন মিছিল, গান, ছেঁড়া কাগজের উড়ন্ত চিঠিতে উন্মাদ।
একদিকে স্বদেশি আন্দোলনের দাবানল, অন্যদিকে সমাজের অন্তঃসলিলা বিভাজন।
ঈশান ও আরিফার পরিচয় যেভাবে শুরু হয়েছিল, তার পরে সপ্তাহখানেকের মধ্যে তারা একাধিকবার দেখা করেছে—মাঝে মাঝে টাউন হল লাইব্রেরির পেছনে, কখনো কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসের ছায়ায়, আবার কখনো মল্লিকবাজারে দাঁড়িয়ে ঘুড়ি ওড়ার মাঝখানে।
তবে তাঁদের এই মিলন—ছিল অনেক না বলা কথা, অনেক চাহনির মিশেল, কিন্তু সমাজের চোখে এক অসম্ভব প্রেম।
ঈশান একদিন বলল:
“তুমি জানো, আমি যখন প্রথম তোমার চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম, বুঝতে পারিনি তুমি মুসলমান।”
আরিফা মৃদু হেসে বলল,
“তুমি জানলে কি লাভ? আমি তো জানি, এই সমাজ আমাকে মনে রাখবে শুধুই এক ‘অন্য ধর্মের মেয়ে’ বলে।”
ঈশান চুপ করে গেল।
তারপর বলল,
“তবে ধর্মের দেওয়ালের ওপাশেও তো আলো পড়ে। আমরা যদি সেই আলো ধরে হাঁটি?”
বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী তাদের সম্পর্কের মূলে রয়েছে।
আরিফার চোখে জল টলমল করে উঠল। সে বলল,
“তুমি জানো, ঢাকায় আমার পরিবার কীভাবে মুখ ফিরিয়ে নেবে যদি তারা জানে আমি এক হিন্দু ছেলের সঙ্গে ঘুরছি? আমার মা বলবে—তুই আমাদের ইজ্জত ছিঁড়ে দিলি।”
ঈশান ধীরে তার হাত ছুঁয়ে বলল,
“তোমার মায়ের সেই ইজ্জতের চেয়ে বড় তো দেশের ইজ্জত। যে দেশ ভেঙে যাচ্ছে, তাকে জোড়া লাগানো কি আমাদের ভালোবাসার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ?”
সেই সন্ধ্যা ছিল বিশেষ।
কলেজ স্ট্রিটে বইয়ের দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে তারা প্রথমবারের মতো একসাথে একটা বই কিনল—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ক্ষুধিত পাষাণ’।
বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী যুগ যুগ ধরে স্মরণীয়।
আরিফা বলল,
“এই শহরের কিছু লোক সাহিত্য পড়ে মন ভালো রাখে, আর কিছু লোক শুধু বিদ্বেষের গল্প শুনে রক্তে আগুন জ্বালায়। আমরা কোনটা হবো?”
ঈশান বলল,
“আমরা যদি ভালোবাসতে পারি, তবে হয়তো একদিন মানুষ আবার বিশ্বাস করবে—এক মুসলমান মেয়ে আর এক হিন্দু ছেলে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ছিল। এটা তো শুধু প্রেম নয়, প্রতিরোধ।”
সেই রাতে…
আরিফা তার ডায়েরির পাতায় লিখে রেখেছিল:
“আজ আমি এক হিন্দু যুবককে ভালোবেসে ফেলেছি। নাম ঈশান। আমি মুসলমান, সে ব্রাহ্মণ—এই সমাজের চোখে আমরা পাপী। কিন্তু আমি তাকে ভালোবেসেছি কারণ সে বাংলা ভালোবাসে, যেমন আমি। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আমাদের প্রেম, আমাদের অস্ত্র। যদি আমি ঢাকায় ফিরে যাই, তবে এই প্রেম রয়ে যাবে কলকাতার বাতাসে, নদীর জলে, আর রক্তাক্ত পতাকায়।”
“আজ আমি এক হিন্দু যুবককে ভালোবেসে ফেলেছি। নাম ঈশান। আমি মুসলমান, সে ব্রাহ্মণ—এই সমাজের চোখে আমরা পাপী। কিন্তু আমি তাকে ভালোবেসেছি কারণ সে বাংলা ভালোবাসে, যেমন আমি। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আমাদের প্রেম, আমাদের অস্ত্র। যদি আমি ঢাকায় ফিরে যাই, তবে এই প্রেম রয়ে যাবে কলকাতার বাতাসে, নদীর জলে, আর রক্তাক্ত পতাকায়।”
বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী যেন একটি চিরন্তন গল্প।
“আজ আমি এক হিন্দু যুবককে ভালোবেসে ফেলেছি। নাম ঈশান। আমি মুসলমান, সে ব্রাহ্মণ—এই সমাজের চোখে আমরা পাপী। কিন্তু আমি তাকে ভালোবেসেছি কারণ সে বাংলা ভালোবাসে, যেমন আমি। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আমাদের প্রেম, আমাদের অস্ত্র। যদি আমি ঢাকায় ফিরে যাই, তবে এই প্রেম রয়ে যাবে কলকাতার বাতাসে, নদীর জলে, আর রক্তাক্ত পতাকায়।”
“আজ আমি এক হিন্দু যুবককে ভালোবেসে ফেলেছি। নাম ঈশান। আমি মুসলমান, সে ব্রাহ্মণ—এই সমাজের চোখে আমরা পাপী। কিন্তু আমি তাকে ভালোবেসেছি কারণ সে বাংলা ভালোবাসে, যেমন আমি। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আমাদের প্রেম, আমাদের অস্ত্র। যদি আমি ঢাকায় ফিরে যাই, তবে এই প্রেম রয়ে যাবে কলকাতার বাতাসে, নদীর জলে, আর রক্তাক্ত পতাকায়।”
“আজ আমি এক হিন্দু যুবককে ভালোবেসে ফেলেছি। নাম ঈশান। আমি মুসলমান, সে ব্রাহ্মণ—এই সমাজের চোখে আমরা পাপী। কিন্তু আমি তাকে ভালোবেসেছি কারণ সে বাংলা ভালোবাসে, যেমন আমি। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আমাদের প্রেম, আমাদের অস্ত্র। যদি আমি ঢাকায় ফিরে যাই, তবে এই প্রেম রয়ে যাবে কলকাতার বাতাসে, নদীর জলে, আর রক্তাক্ত পতাকায়।”
ঢাকা, অক্টোবর ১৯০৫।
আরিফা ফিরে গেছে ঢাকায়। পরিবারের চাপে, সমাজের চাপে, আর কিছুটা নিজের সংকল্পে—সাময়িক পিছু হটা।
কিন্তু মনের ভেতরে আগুন এখন আরও বেশি প্রজ্জ্বলিত। ভালোবাসা যেমন গভীর হয়েছে, তেমনি বেড়েছে প্রতিরোধের বোধ।
সে এখন শুধু প্রেমিকা নয়—বিপ্লবের এক নীরব সৈনিক।
এদিকে ঈশান কলকাতায় গোপনে যুক্ত হয়েছে ‘অনুশীলন সমিতি’র এক গুপ্ত শাখায়। তার কাজ—ঢাকার সাথে তথ্য আদানপ্রদান, ইংরেজ সরকারকে ফাঁকি দিয়ে আন্দোলনের গোপন রুট ছড়িয়ে দেওয়া।
তাদের যোগাযোগ এখন আর কবিতার ভাষায় নয়, চিঠির গোপন সংকেতে।
প্রথম চিঠি, ১৯০৫ সালের ৫ অক্টোবর:
প্রিয় অরুণা (আরিফা-র ছদ্মনাম),
আমাদের ভালোবাসা আজ আর কেবল হৃদয়ের নয়, ইতিহাসের অংশ।
আগামি শুক্রবার রাত ৯টায় মুকুন্দপুরের পুরনো জমিদার বাড়িতে আসো।
সঙ্গে আনো “সূর্যোদয়ের মানচিত্র”—যেটা ঢাকা থেকে এসেছে বলে শুনেছি।
বাংলার সূর্য এবার আমাদের হাতে উঠুক।— ঈ.
প্রিয় অরুণা (আরিফা-র ছদ্মনাম),
বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী আমাদের আত্মাকে স্পর্শ করে।
আমাদের ভালোবাসা আজ আর কেবল হৃদয়ের নয়, ইতিহাসের অংশ।
আগামি শুক্রবার রাত ৯টায় মুকুন্দপুরের পুরনো জমিদার বাড়িতে আসো।
সঙ্গে আনো “সূর্যোদয়ের মানচিত্র”—যেটা ঢাকা থেকে এসেছে বলে শুনেছি।
বাংলার সূর্য এবার আমাদের হাতে উঠুক।
— ঈ.
প্রিয় অরুণা (আরিফা-র ছদ্মনাম),
আমাদের ভালোবাসা আজ আর কেবল হৃদয়ের নয়, ইতিহাসের অংশ।
আগামি শুক্রবার রাত ৯টায় মুকুন্দপুরের পুরনো জমিদার বাড়িতে আসো।
সঙ্গে আনো “সূর্যোদয়ের মানচিত্র”—যেটা ঢাকা থেকে এসেছে বলে শুনেছি।
বাংলার সূর্য এবার আমাদের হাতে উঠুক।
— ঈ.
প্রিয় অরুণা (আরিফা-র ছদ্মনাম),
আমাদের ভালোবাসা আজ আর কেবল হৃদয়ের নয়, ইতিহাসের অংশ।
আগামি শুক্রবার রাত ৯টায় মুকুন্দপুরের পুরনো জমিদার বাড়িতে আসো।
সঙ্গে আনো “সূর্যোদয়ের মানচিত্র”—যেটা ঢাকা থেকে এসেছে বলে শুনেছি।
বাংলার সূর্য এবার আমাদের হাতে উঠুক।
— ঈ.
প্রিয় অরুণা (আরিফা-র ছদ্মনাম),
আমাদের ভালোবাসা আজ আর কেবল হৃদয়ের নয়, ইতিহাসের অংশ।
আগামি শুক্রবার রাত ৯টায় মুকুন্দপুরের পুরনো জমিদার বাড়িতে আসো।
সঙ্গে আনো “সূর্যোদয়ের মানচিত্র”—যেটা ঢাকা থেকে এসেছে বলে শুনেছি।
বাংলার সূর্য এবার আমাদের হাতে উঠুক।
— ঈ.
চিঠিটি পৌঁছয় আরিফার কাছে এক সবজি বিক্রেতার ঝুড়ির নিচে চাপা দিয়ে।
চিঠির গায়ে লেখা ছিল “সজনে পাতার দাম কমেছে”, কিন্তু ভিতরে লুকিয়ে ছিল একটা রাজনীতি-কাঁপানো সংকেত।
গোপন মিলন, মুকুন্দপুর।
১৯০৫ সালের ১৩ অক্টোবর, কলকাতার বাইরে মুকুন্দপুরের এক জরাজীর্ণ জমিদার বাড়ি। রাত ন’টা।
দু’পাশে ভাঙা দেওয়াল, সিঁড়ির নিচে বাদুড়ের বাসা।
একটা মোমবাতি জ্বলছে কুয়াশা ভেদ করে।
বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী আমাদের দেশের একটি প্রতীক।
আরিফা আসছে সাদা শাড়ি আর বোরখার নিচে লুকিয়ে। হাতে একটা কাঠের বাক্স, ভেতরে ঢাকা বিভাগের স্বদেশি সমিতির নথিপত্র।
ঈশান অপেক্ষায়।
বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী আমাদের ইতিহাসকে চিত্রিত করে।
তারা মুখোমুখি হলো—কোনো গাঢ় আলিঙ্গন নয়, কোনো আবেগী সংলাপ নয়।
তারা জানে, এই দেখা প্রেমের জন্য নয়, ভবিষ্যতের জন্য।
বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী আমাদের ইতিহাসের অংশ।
—
ঈশান বলল,
“তুমি জানো না, এই কাগজগুলো দিয়ে আমরা আগামী মাসে কলকাতা, খুলনা আর রাজশাহীতে একযোগে বিক্ষোভ করব। তুমি না এলে কিছুই সম্ভব হতো না।”
আরিফা শান্তভাবে উত্তর দিল,
“আমি আসতামই। তুমি ডাকলে না ডাকলে, আমি আসতাম। আমার দায় শুধু একজন প্রেমিকার নয়, একজন সৈনিকেরও।”
সেই রাতে তারা একসাথে বসে তৈরি করল একটি গোপন চিঠি।
চিঠিটি যাবে চট্টগ্রামে, যেখানে নতুন এক বিদ্রোহের প্রস্তুতি নিচ্ছে অনেকে।
চিঠিতে থাকবে ব্রিটিশ গুদামঘরের মানচিত্র, নীলকর জমিদারদের বিরুদ্ধে তথ্য, এবং … একটি কবিতা।
—
“ভাষা ভাগ হলে, মাটি ভাগ হয় না।
হৃদয় ভাগ হলে, দেশ রক্তাক্ত হয়।
আমরা যদি ভালোবাসতে পারি, তবে সে প্রেমে একদিন ইতিহাসও হারে।”
“ভাষা ভাগ হলে, মাটি ভাগ হয় না।
হৃদয় ভাগ হলে, দেশ রক্তাক্ত হয়।
আমরা যদি ভালোবাসতে পারি, তবে সে প্রেমে একদিন ইতিহাসও হারে।”
বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী সমাজের প্রতিচ্ছবি।
“ভাষা ভাগ হলে, মাটি ভাগ হয় না।
হৃদয় ভাগ হলে, দেশ রক্তাক্ত হয়।
আমরা যদি ভালোবাসতে পারি, তবে সে প্রেমে একদিন ইতিহাসও হারে।”
“ভাষা ভাগ হলে, মাটি ভাগ হয় না।
হৃদয় ভাগ হলে, দেশ রক্তাক্ত হয়।
আমরা যদি ভালোবাসতে পারি, তবে সে প্রেমে একদিন ইতিহাসও হারে।”
“ভাষা ভাগ হলে, মাটি ভাগ হয় না।
হৃদয় ভাগ হলে, দেশ রক্তাক্ত হয়।
আমরা যদি ভালোবাসতে পারি, তবে সে প্রেমে একদিন ইতিহাসও হারে।”
চিঠিটি শেষ করার পর, হঠাৎ নীরবতা।
ঈশান বলল,
“তোমাকে আবার দেখতে পারব তো?”
ঈশান ও আরিফার মধ্যে বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী একটি বিদ্রোহের রূপ নিয়েছে।
বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী তাদের প্রতিরোধের অংশ হয়ে উঠেছে।
আরিফা বলল,
“আমি চাই না তুমি আমায় খুঁজো।
আমরা এখন ছায়া, যোদ্ধা।
তবে জানো, ঈশান—
যেদিন ব্রিটিশ পতাকা এই বাংলার আকাশ থেকে নামবে,
আমি সেদিন পদ্মার পাড়ে দাঁড়িয়ে তোমার জন্য অপেক্ষা করব।”
রাত শেষের আগেই…
আরিফা চলে যায় ঢাকার পথে। ঈশান ফিরে যায় কলকাতার এক গোপন আস্তানায়।
তারা জানত না—এই চিঠির জন্য, এই মিলনের জন্য, তাদের জীবন কতখানি বদলে যাবে।
তবে তারা জানত, তাদের প্রেম এখন আর শুধু প্রেম নয়—এটা বাংলার বিভক্ত বুকের মাঝে এক সেতু, এক স্বপ্ন, এক বিদ্রোহ।
কলকাতা, ১৬ অক্টোবর ১৯০৫।
দিনটি ইতিহাসের পাতায় লিখিত রয়ে গেছে—বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হলো সেদিন।
অবিভক্ত বাংলা আজ থেকে দ্বিখণ্ডিত। পূর্ব বঙ্গ (ঢাকা কেন্দ্রিক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল) আর পশ্চিম বঙ্গ (কলকাতা কেন্দ্রিক হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল)।
বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী আমাদের চেতনায় উজ্জ্বল।
শুধু মানচিত্রে রেখা টানা নয়, এটা ছিল বাঙালির আত্মায় রক্ত ছড়িয়ে দেওয়া এক বিভাজন।
সেই সকালে…
কলকাতার রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল।
একটি ইংরেজ অফিসার—মেজর স্টুয়ার্ট, যিনি বঙ্গভঙ্গ রূপায়ণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন, তাকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয় উত্তর কলকাতার এক গলিতে।
হত্যার পর ছড়িয়ে পড়ে গুজব—এ কাজ করেছে অনুশীলন সমিতির ঈশান চক্রবর্তী।
সঙ্গে সঙ্গে গোয়েন্দারা নেমে পড়ে শহরজুড়ে তল্লাশি চালাতে।
ঈশান পালায়নি।
তিনি সেই রাতে সোজা চলে যান কুমারটুলি ঘাটে, যেখানে তার কিছু বিপ্লবী সাথী অপেক্ষা করছিল।
আরিফার সিদ্ধান্ত
ঢাকায় বসে খবর পেয়ে আরিফা মুহূর্তে বুঝে যায়—এই আঘাত ব্রিটিশকে নয়, তাদের প্রেমকেও ছিন্ন করে দিতে পারে।
সে এক ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়। ছদ্মবেশে কলকাতায় ফিরে আসে, পোশাকে এক সাঁওতাল পরিচারিকা। পেছনে তার ঝুলিতে কিছু খাবার, এবং ঈশানের জন্য এক শেষ চিঠি।
সে পৌঁছায় সিঁথির এক গোপন ঘরে, যেখানে ঈশান লুকিয়ে ছিল।
—
ঈশান হতবাক,
“তুমি কেন এসেছো! যদি ধরেই ফেলে কেউ?”
আরিফা বলল,
“তোমাকে যেতে দিতে পারি, তবু না দেখে যেতে দিতে পারি না।”
তার চোখে জল, কিন্তু মুখ দৃঢ়।
বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী চিরকাল বাঙালির হৃদয়ে থাকবে।
“তুমি দেশকে ভালোবেসে যাচ্ছো, আমি তাকে রক্ষা করতে রয়ে যাচ্ছি। দুজনেই এক কাজ করছি—একই স্বপ্নে, শুধু আলাদা পথ ধরে।”
ঈশান বলল,
“আমরা কি কোনোদিন আবার এক হবো?”
আরিফা বলল,
“হবে। যখন বাংলা আবার এক হবে, যখন হিন্দু-মুসলমান হাতে হাত রেখে পথ হাঁটবে, যখন প্রেম হবে প্রতিরোধ নয়, তখন—তুমি আর আমি—হয়তো অন্য নামে, অন্য শরীরে—but we will return.”
বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী তাদের আলাপচারিতায় ফিরে আসে।
আরিফার মনে বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী কখনোই ম্লান হয় না।
বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী তার হৃদয়ে অমলিন।
বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী আজও জীবন্ত।
বিচ্ছেদ ও বন্দিত্ব
এই প্রেমের জন্য, বঙ্গভঙ্গের হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের কাহিনী একটি ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
সেই রাতেই ঈশানকে গ্রেপ্তার করে ব্রিটিশ পুলিশ।
তাকে তল্লাশির সময় পাওয়া একটি কাগজের টুকরোর জন্য অভিযুক্ত করা হয়—যেখানে আরিফার লেখা কবিতা ছিল:
“ভালোবাসা যখন রক্ত ঝরায়,
তখন তা বিদ্রোহ হয়।
আর বিদ্রোহ যখন ভালোবাসা হয়ে যায়,
তখনই ইতিহাস কাঁপে।”
“ভালোবাসা যখন রক্ত ঝরায়,
তখন তা বিদ্রোহ হয়।
আর বিদ্রোহ যখন ভালোবাসা হয়ে যায়,
তখনই ইতিহাস কাঁপে।”
“ভালোবাসা যখন রক্ত ঝরায়,
তখন তা বিদ্রোহ হয়।
আর বিদ্রোহ যখন ভালোবাসা হয়ে যায়,
তখনই ইতিহাস কাঁপে।”
“ভালোবাসা যখন রক্ত ঝরায়,
তখন তা বিদ্রোহ হয়।
আর বিদ্রোহ যখন ভালোবাসা হয়ে যায়,
তখনই ইতিহাস কাঁপে।”
“ভালোবাসা যখন রক্ত ঝরায়,
তখন তা বিদ্রোহ হয়।
আর বিদ্রোহ যখন ভালোবাসা হয়ে যায়,
তখনই ইতিহাস কাঁপে।”
ঈশানকে পাঠানো হয় আন্দামান সেলুলার জেলে।
১৮ বছরের দ্বীপান্তর। আরিফা ফেরত যায় ঢাকায়, এবার এক নতুন পরিচয়ে—
নাম নেয় “আয়েশা বেগম”, কাজ করে গোপনে নবনির্মিত মুসলিম মহিলাদের বিপ্লবী সংঠনে।
তারা কখনও আর দেখা করেনি।
ঢাকা, ১৯১৫।
আরিফা এখন “আয়েশা বেগম” ছদ্মনামে ঢাকার নব গঠিত মুসলিম নারীদের শিক্ষামঞ্চ চালায়।
আন্দোলনের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছে সে।
কিন্তু ভিতরে ভিতরে সে রোজ অপেক্ষা করে।
প্রতি পূর্ণিমায় সে হেঁটে যায় পদ্মার ঘাটে।
হাতে একটা কাগজ—চিঠি নয়, ঈশানের মুখের অবয়ব আঁকা।
সে জানে না ঈশান বেঁচে আছে কিনা, কিন্তু বিশ্বাস করে—একদিন সে ফিরবে।
ঈশান কখনো মুক্ত হয়নি।
আরিফাও আর কখনো দেখা পায়নি তার।
কিন্তু পদ্মা পাড়ে, যেখানটায় আরিফা শেষ বয়সে হাঁটতেন, সেখানকার মানুষ এক আজব কথা বলে—
“পুরনো নৌকাঘাটে নাকি এখনো এক বুড়ি মহিলা এসে দাঁড়িয়ে থাকেন, হাতে একটা ছেঁড়া চিঠি, আর বলেন—
‘আজও সে ফিরল না, তবে আমি জানি, সে বাংলায়ই আছে—কোনো লাঠিতে, কোনো পতাকায়, কোনো চোখের প্রেমে।’”
আরও পড়ুন:প্রেমের গল্প